
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- 'তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহ্র রজ্জুকে শক্ত করে ধরো।' যেহেতু সমগ্র পৃথিবীর জন্য চাঁদ একটি, মুসলিম জাতির কেন্দ্রবিন্দু মক্কা শরীফে চাঁদ দেখার সাথে সঙ্গতি রেখে সারা বিশ্বে একই দিনে যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি উদযাপন সম্ভব। সূফী সম্রাট ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে চান্দ্রপঞ্জিকা প্রণয়নের একটি মডেল মুসলিম বিশ্বের সরকার প্রধানগণের কাছে উপস্থাপন করেন।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
"তোমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহ্র রজ্জুকে শক্ত করে ধরো, এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।" (সূরা-আলে ইমরান-৩: আয়াত-১০৩)
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- "সকল মুসলমান ভাই ভাই।"
অথচ মুসলমানগণ এক আল্লাহ্র বান্দা ও একই রাসুলের উম্মত হওয়া সত্ত্বেও, বিভিন্ন দেশে ঈদ, রোজা, কোরবানিসহ বিবিধ ইসলামী অনুষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন তারিখে পালন করে থাকে।
চন্দ্র গণনার হেরফেরের কারণে, প্রতি বছর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়নি-এ অজুহাতে, মক্কা শরীফের সাথে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান মাত্র তিন ঘণ্টা হওয়া সত্ত্বেও মক্কা শরীফে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের দীর্ঘ এক দিন অথবা দু' দিন পর তা বাংলাদেশে পালন করা হয়।
যেহেতু সমগ্র পৃথিবীর জন্য চাঁদ একটি, মুসলিম জাতির কেন্দ্রবিন্দু মক্কা শরীফে চাঁদ দেখার সাথে সঙ্গতি রেখে সারা বিশ্বে একই দিনে যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি উদযাপন সম্ভব।
যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান এ সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে চান্দ্রপঞ্জিকা প্রণয়নের একটি মডেল মুসলিম বিশ্বের সরকার প্রধানগণের কাছে উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবটি ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)-এর সেমিনারে আলোচিত হলে, সদস্যভুক্ত পঞ্চাশটি দেশের প্রতিনিধিগণ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। অতঃপর ওআইসি তার সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার প্রস্তাবনা দিয়ে চিঠি প্রেরণ করে।
বর্তমানে এ প্রস্তাবটি বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ বিবেচনাধীন রয়েছে।