
যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্র পবিত্র বাণীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে স্বজাতির কাছে যে ধর্মীয় বিধান পেশ করেছেন, তা তৎকালীন নবী ও রাসুলের নামানুসারে পরিচিতি লাভ করে। একইভাবে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রবর্তিত পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নাম হচ্ছে মোহাম্মদী ইসলাম। সূফী সম্রাট মোহাম্মদী ইসলামকে বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে আশেকে রাসুল সৃষ্টি করছেন।
যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ্র পবিত্র বাণীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে স্বজাতির কাছে যুগোপযোগী যে ধর্মীয় বিধান পেশ করেছেন, তা তৎকালীন নবী ও রাসুলের নামানুসারে অর্থাৎ ইব্রাহীমী ইসলাম, মুসায়ী ইসলাম এবং ঈসায়ী ইসলাম নামে পরিচিতি লাভ করে।
একইভাবে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রবর্তিত পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নাম হচ্ছে মোহাম্মদী ইসলাম, যার সাথে পূর্ববর্তী ইসলামী বিধানের মিল রয়েছে।
যেহেতু আমরা হযরত রাসুল (সাঃ)-এর শিক্ষা অনুসরণ করি, সেহেতু আমাদের ধর্মের নাম হওয়া উচিত মোহাম্মদী ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান বলেন-
"ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলমানগণ 'উম্মতে মোহাম্মদী' এবং মুসলমানদের জীবন-বিধান 'মোহামেডান ল' হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলো। পরবর্তীতে উমাইয়া শাসনামলে চান্তের মাধ্যমে ইসলাম থেকে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর নাম মোবারক বাদ দিয়ে 'কাণ্ডারিবিহীন ইসলামে'-এ পরিণত করা হয়েছে।"
যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান আরো বলেন-
"মাজহাবের ইমামগণের নামানুসারে যদি হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী মাজহাব হতে পারে, তরীকার ইমামগণের নামানুসারে যদি কাদেরীয়া, চিশতীয়া, নক্শবন্দীয়া ও মোজাদ্দেদীয়া তরীকা হতে পারে, এমনকি হাদীস সংকলকদের নামানুসারে যদি বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, প্রভৃতি কিতাবের নাম হতে পারে, তবে যিনি আপন সর্বস্ব ত্যাগ করে আমাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে গেছেন, তাঁর নামানুসারে এ ইসলামের নাম 'মোহাম্মদী ইসলাম' না হওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়?"
মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান মোহাম্মদী ইসলামকে বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে আশেকে রাসুল সৃষ্টি করে, আল্লাহ্ তায়ালার মহান দ্বীন জগতের বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে, একদিকে মানুষ যত বেশি জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হচ্ছে, অপরদিকে এলমে তাসাউফের শিক্ষার অনুপস্থিতিতে তাদের নৈতিক চরিত্রের অবনতি তত বেশি ঘটছে। তিনি এ নৈতিক অবক্ষয় রোধকল্পে নূরে মোহাম্মদীর দীপশিখা বিশ্ববাসীর মাঝে জ্বালিয়ে দিতে চান।
মানুষ যেন উপলব্ধি করতে পারে, ইসলাম প্রকৃত পক্ষেই শান্তির ধর্ম এবং মুসলমান মানেই সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলাকারী নয়।
যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান এবং তাঁর পরিবারবর্গ এ মহৎ উদ্যোগে সকল আশেকে রাসুল ভাই ও বোনদেরকে শরীক হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
আল্লাহ্ আমাদের প্রত্যেককে তাঁর এ মহিমান্বিত অলীবন্ধুর আনুগত্য করার মাধ্যমে হযরত রাসুল (সাঃ)-এর রেখে যাওয়া মোহাম্মদী ইসলামের আলো দ্বারা নিজেদেরকে আলোকিত করার তৌফিক দান করুন। আমিন!