বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) গরীব ছিলেন না; তিনি ছিলেন ধনী ও মদীনার শাসনকর্তা
সকল সংস্কার
ধর্মীয় সংস্কার

বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) গরীব ছিলেন না; তিনি ছিলেন ধনী ও মদীনার শাসনকর্তা

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে- 'হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) গরীব ছিলেন।' সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান বলেন-'হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কখনই গরীব ছিলেন না, তিনি ছিলেন ধনী। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর দাদা হযরত আবদুল মুত্তালিব (আঃ) ছিলেন মক্কার শাসনকর্তা।'

রাসুল (সাঃ)-এর ধনসম্পদমদীনার শাসনকর্তামদীনার সনদকুরআনের প্রমাণ

আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে- 'হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) গরীব ছিলেন। তিনি অনাহারে-অর্ধাহারে কালাতিপাত করতেন। তাঁর পরিধানের বস্ত্র ছিল জীর্ণ-মলিন, সত্তর তালিওয়ালা। তিনি ইহুদীর বাগানে খেজুরের বিনিময়ে কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি উত্তোলন করে বাগানে দিতেন।'

সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান বলেন-'হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কখনই গরীব ছিলেন না, তিনি ছিলেন ধনী। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর দাদা হযরত আবদুল মুত্তালিব (আঃ) ছিলেন মক্কার শাসনকর্তা।' ফলে তিনি শৈশবকালেই রাজপরিবারে লালিত-পালিত হন। তাঁর সম্মানিত পিতা হযরত আবদুল্লাহ (আঃ) ছিলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী।

পাশাপাশি হযরত রাসুল (সাঃ) নিজেও ছিলেন মদীনার শাসনকর্তা, অর্থাৎ মদীনার ইসলামী জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি। 'মদীনার সনদ' নামে তিনিই এ রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়ন করে সকলের জীবনে ইনসাফ কায়েম করে শান্তির সমাজ কায়েম করেন। হযরত রাসুল (সাঃ)-এর লঙ্গরখানায় প্রতিদিন সারে তিনশ' থেকে চারশ' লোক আহার করতেন। সুতরাং তিনি ধনী ছিলেন।

তাছাড়া মহান আল্লাহ্ কুল-কায়েনাতের রহমত হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-কে নজিরবিহীন সম্মান ও অতুলনীয় ধনসম্পদ দ্বারা তাঁকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেন। মহিমান্বিত আল্লাহ্ নিজেই বলেন-

وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَاغْنَى

অর্থাৎ: "হে রাসুল (সাঃ)! আমি আপনাকে অসহায় অবস্থায় পেয়েছি, অতঃপর আপনাকে সম্পদশালী করেছি।" (সূরা-আদ্ব দুহা-৯৩: আয়াত-৮)

সুতরাং মহিমান্বিত আল্লাহ্ নিজে যে রাসুল (সাঃ)-কে সম্পদশালী করলেন, তিনি কি করে গরীব হতে পারেন? উপরন্তু পরম করুণাময় আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সাঃ)-কে এত বেশি সম্পদশালী করেন যে, তিনি তাঁর ধনভাণ্ডারের চাবিসমূহ তাঁর এ শ্রেষ্ঠ মাহবুবের হস্ত মোবারকে অর্পণ করেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) নিজেই এরশাদ করেন-

وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ رَأَيْتُنِي أُتِيْتُ بِمَفَاتِيْحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدِى

অর্থাৎ : "একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আমাকে দেখানো হলো যে, পৃথিবীর সকল ধনভাণ্ডারের চাবিসমূহ আমার হাতে অর্পণ করা হয়েছে।" (বোখারী ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা-৫১২)

ফলে আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) এত বেশি দান-সদকা করতেন যে, তাঁর মত এত বড় দানশীল আর কেউ ছিলো না। প্রকৃতপক্ষে হযরত রাসুল (সাঃ) ইহকাল ও পরকালের বাদশাহ।

আর তিনি সম্পদশালী-ধনী ছিলেন বলেই তিনি যাকাত দিয়েছেন, হজ্জ করেছেন, বিদায় হজ্জে একশ' উট কোরবানি করেছেন। অথচ স্বধর্মীদের অজ্ঞতার সুযোগে বিধর্মীরা চান্ত করে মুসলমানদের পাঠ্যপুস্তকে পর্যন্ত কুরআনবিরোধী এ মিথ্যা অন্তর্ভুক্ত করে দেয়, হযরত রাসুল (সাঃ) গরীব ছিলেন।

সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান এ ভুল সংশোধন করে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রমাণ করেন-বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) গরীব ছিলেন না; তিনি ছিলেন- ধনী, দোজাহানের বাদশাহ।

জামানার মোজাদ্দেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান তাঁর মহামূল্যবান এ সংস্কারটি মানবজাতির কাছে উপস্থাপনের লক্ষ্যে এ বিষয়ে একখানা কিতাব রচিত করেন। 'বিশ্বনবীর স্বরূপ উদ্‌ঘাটনে সূফী সম্রাট: রাসুল (সাঃ) সত্যিই কি গরীব ছিলেন?'- এ নামে প্রণীত কিতাবখানা সূফী সম্রাটের ধর্মীয় সংস্কারের এক জীবন্ত দলিল হিসেবে আজ মুসলিম উম্মাহর নিকট সমাদৃত হয়েছে।

এই সংস্কার শেয়ার করুন