
রাহমাতুল্লিল আলামীন হযরত রাসুল (সাঃ) প্রবর্তিত ইসলামের মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে- এলমে তাসাউফ, আল্লাহকে জানার বিজ্ঞান। সূফী সম্রাট এলমে তাসাউফ ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রস্তাব দেন, এবং ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষায় তাসাউফ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রাহমাতুল্লিল আলামীন হযরত রাসুল (সাঃ) প্রবর্তিত ইসলামের মৌলিক শিক্ষা হচ্ছে- এলমে তাসাউফ, আল্লাহকে জানার বিজ্ঞান, যার মাধ্যমে তিনি বর্বর আরব জাতিকে আদর্শ চরিত্রবানে পরিণত করে পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জাতির মর্যাদায় উন্নীত করেছিলেন।
অপরদিকে মুসলিম সমাজে প্রচলিত ধারণা ছিলো, এলমে তাসাউফের সাধনা করে সূফী হবার উদ্দেশ্যে মানুষকে সংসারত্যাগী হতে হবে। সে ভ্রান্ত ধারণার ফলে সমাজ থেকে এলমে তাসাউফের চর্চা বিলুপ্ত হবার উপম হয়েছিল।
সূফী সম্রাট রাজধানীর বুকে বিশ্ব সূফী সম্মেলন, ও পরবর্তীতে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সাঃ) সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন- সমাজে অবস্থান করেই মানুষ আওলিয়ায়ে কেরামের নির্দেশানুসারে ধর্ম পালন করে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করতে পারে।
হযরত রাসুল (সাঃ) মানুষকে সমাজ ও পরিবারে বসবাসরত অবস্থাতে সাধনার মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন করে মু'মিনে পরিণত হবার শিক্ষা দিয়েছেন।
সূফী সম্রাট এ সত্যকে আলোকপাত করে এলমে তাসাউফ ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রস্তাব দেন, এবং তাঁর প্রস্তাবের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষায় তাসাউফ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে বি.এ (অনার্স) এবং এম.এতে তাসাউফ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।